৭১
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি।।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার এলাকায় ইটভাটার মাটির স্তুপে ” সোনা পাওয়া “র প্রচারিত সংবাদের প্রেক্ষিতে
অবশেষে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক অধিদপ্তর থেকে
দু’সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম মাটি পরীক্ষার জন্য সরেজমিনে নেমেছেন। তারা তিনদিন পরীক্ষা চালাবেন। মঙ্গলবার ৪ জুন দুপুরে ওই
টিমের সদস্য সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) আনোয়ার সাদাৎ মুহাম্মদ সায়েম ও সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) মোহাম্মদ আল রাজী রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান, বাচোর ইউপি চেয়ারম্যান জীতেন্দ্রনাথ বর্মণ ও অন্যদের সাথে নিয়ে এ পরীক্ষা ও অনুসন্ধান কার্যক্রম চালান।এসময় স্থানীয় সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন। টিম সদস্যরা এদিন আরবিবি ইটভাটায় রক্ষিত মাটির স্তুপ, শ্যামরাই মন্দিরের পার্শ্ববর্তী জমি ও
পীরগঞ্জ উপজেলার নানাহার পুকুরের পাশের
জমি থেকে মাটির নমূনা সংগ্রহ করেন।এ বিষয়ে
টিম সদস্য আনোয়ার সাদাৎ মুহাম্মদ সায়েম এ প্রতিবেদককে বলেন, “… আজ আমরা এ এলাকার তিনটি স্থানের মাটির নমুনা সংগ্রহ করেছি এবং চোখে দেখে এ মাটি পরীক্ষা করেছি।এরপর এ মাটির নমুনা প্রতিবেদনসহ
সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরিতে জমা দেবো পরীক্ষার জন্য। সংগৃহীত মাটি অনুযায়ী এসব স্থানে সোনা
থাকার সম্ভাবনা আছে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে
তিনি বলেন,… আসলে এটি ভূতাত্ত্বিকভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধানের বিষয়। সে হিসেবে এ মাটিতে সোনা থাকার সম্ভাবনা নেই
তবে প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে গুপ্তধন আকারে দেশের
যে কোনো স্থানে সোনা ইত্যাদি থাকতে পারে।
বর্তমান সরকার প্রাকৃতিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক উভয় সম্পদ অনুসন্ধানে তৎপর আছে মর্মে তিনি বলেন।
প্রসঙ্গত, গত কিছুদিন ধরে কাতিহার এলাকায় আরবিবি ইটভাটার মাটির ঢিবিতে সোনা পাওয়ার আশায় হাজার হাজার মানুষ মাটি খোঁড়ার কাজে ছুটে এসেছিল। কেউ কেউ সোনার টুকরা, চাকতি ইত্যাদি পেয়েছিল বলেও শোনা গিয়েছিল।