৭৭
শহর সংবাদদাতা
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর আরাজী শিংপাড়া গ্রামে, সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. জালাল উদদীনের ক্রয়কৃত ২১ শতক জমির জাল দলিল ও ভুয়া কাগজপত্র করে দখল করে নেবার পাঁয়তারা করছে জগন্নাথপুরবাসী আয়েশা ও তার ছেলে আলমগীর। গত একবছর আগে ধরে এই অসাধু ব্যক্তিরা জাল দলিল ও কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগশাজসে নকল খতিয়ান-কাজগপত্র তৈরী করে এবং সন্ত্রাসী ভারা করে কয়েকবার জমি দখলের চেষ্টা করে। এরপর ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে বলে এই টাকা দিলে তারা জমিতে আর আসবেনা।
ভুক্তভোগী প্রায় ৮০ বছর বয়সী সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. জালাল উদদীন অভিযোগ করে বলেন, শেষ পর্যন্ত ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবীসহ ভয়-ভীতি ও হত্যার প্রচেষ্টা করায় এক পর্যায়ে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে তাদের নকল কাজগপত্র ও জাল দলিল বাতিলের প্রতিকার চেয়ে আইন মোতাবেক বিজ্ঞ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, ঠাকুরগাঁও বরাবর একটি মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং-১৩৪/২৪ তারিখ- ১৬ মে ২০২৪, মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- ১. আয়েশা খাতুন-৫০, স্বামী- আব্দুল আলী, সাং-জগন্নাথপুর। ২. আলমগীর হোসেন-২৭, পিতা- আব্দুল আলী, জগন্নাথপুর, ঠাকুরগাঁও।
ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. জালাল উদদীন গত ১৮/০৪/২০২৪ তারিখে এই জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করলে মহামান্য বিজ্ঞ জজ আদালতে শুনানিতে আসামী পক্ষ জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে জবাব দিতে আসলে তাদের জাল দলিল,নকল খারিজ ও কাগজ-পত্রের বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। এই চাঁদাবাজী, জাল দলিল সম্পাদন ও হত্যার ভয়-ভীতি প্রদর্শনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে মো. মফিজুল-৩৬, পিতা- মৃত: আব্দুল লতিফ, সাং-আরাজী সিংপাড়া, সালন্দর মো. আলম-৪৮, পিতা-ময়জউদ্দীন, সাং- শাহ্পাড়া, সালন্দর,সহ একদল সন্ত্রাসী। তারা ওই ২১শতক জমিতে ঘর বাড়ি থাকা সত্বেও পুনরায় দখলের পায়তারা করছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, গত বছর ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি তারিখে ৭২নং খতিয়ান মূলে বিবাদী আয়েশা অসাধু উপায়ে জাল দলিল করে যার তারিখ ২০২৪ এ ১৬ জানুয়ারি দলিল নং- ৩৪১/২৪ । যেখানে আগত খতিয়ান-৭২ লেখা রয়েছে ও মালিক আশেয়া খাতুন যা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ ও বানোয়াট।
অন্যদিকে আশেয়া খাতুন ও তার ছেলে আলমগীর এই সাংবাদিককে জানান, তাদের সকল দলিল ও কাগজপত্র সঠিক আছে।