স্টাফ রিপোর্টার, পীরগঞ্জ:  ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী রানীশংকৈলের গোগোর ঝাড়বাড়ি এলাকার আমেরিকান প্রবাসী শরিফুজ্জান শরিফের বাড়িতে নগদ টাকা সহ প্রায় ২১ লাখ টাকার স্বর্ণালকার চুরির ঘটনার এক মাস পেরিয়ে গেলেও চুরি যাওয়া স্বর্নালংকার উদ্ধার বা সন্দেহ ভাজনদের গ্রেপ্তারে থানা পুলিশের কোন উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে পুলিশ বলছেন, প্রকৃত অপরাধীকে গেপ্তার ও চুরি যাওয়া স্বর্নালংকার উদ্ধারে কাজ করছেন তারা।
জানা যায়, ঝাড়বাড়ি এলাকার আমেরিকান প্রবাসী শরিফুজ্জান শরিফের বাড়ির লোকজন প্রতিদিনের মত গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরে ওই প্রবাসীর পিতা তোফাজ্জল হোসেন ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য উঠলে ঘরের জিনিসপত্র বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। কেচি গেট, ষ্টিলের আলমারি ও কাঠের আলমারির তালা ভাঙ্গা। তাৎক্ষনিক আলমারি তল্লাসী করে দেখেন আলমারীতে রাখা নগদ ১ লাখ টাকা ও ২২ ভরি স্বর্ণালংকার নেই। এর পর বাড়িতে লাগানো সিসি ক্যামেরা চেক করে দেখেন এর মেমোরি নেই। চোরেরা চুরির প্রমান নষ্ট করতে সিসি ক্যামেরার মেমেরি খুলে নিয়ে যায়। দুধর্ষ এ চুরির ঘটনার খবর পেয়ে ওইদিনই রাণীশংকৈল সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মঞ্জুরুল আলম ও রাণীশংকৈল থানার ওসি সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। তাদের পরামর্শে প্রবাসির পিতা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এ বিষয়ে থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় বিষয়টি তিনি জেলা পুলিশ সুপারকে জানান। এতে অসন্তুষ্ট হন রাণীশংকৈল থানার ওসি সোহেল রানা। পুলিশ সপুরের নির্দেশে পরে চুরির ঘটনায় ওসি থানায় মামলা নিলেও ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার কিংবা চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধারে কোন ভুমিকা পালন করেনি পুলিশ।
প্রবাসির পিতা তোফাজ্জল হোসেন জানান, পুলিশকে অভিযোগ দেয়ার এক সপ্তাহেও থানায় মামলা না হওয়ায় বিষয়টি তিনি পুলিশ সুপারকে জানান। এতে ক্ষিপ্ত হন রাণীশংকৈল থানা ওসি সোহেল রানা। পরে এসপি’র নির্দেশে থানার ওসি মামলা নিলেও চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধার কিংবা জড়িতদে গ্রেপ্তারে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সন্দেহভাজনদের নাম থানা পুলিশকে জানানোর পরেও তারা তালবাহান করছেন। এতে আরো বে পরোয়া হয়ে উঠেছে সন্দেহ ভাজনরা। প্রবাসির পরিবারকে নিঃস্ব করে পথে বসানো হবে বলে সন্দেহভাজনরা হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। হুমকি ধামকির বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ এ বিষয়েও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এতে ঐ প্রবাসির পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, ঘটনার সাঘে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত করতে কাজ করছেন তারা। চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আনা গাফিলাতির অভিযোগ সত্য নয়।