
স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় একটি গরু খামারে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত ট্রাকের চালক, মূল পরিকল্পনাকারী ও লুণ্ঠিত গরুর পেশাদার ক্রেতাও আটক হয়েছেন।
গ্রেপ্তার চারজনকে গত শনিবার ঠাকুরগাঁও বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, গত ১০ নভেম্বর গভীর রাতে বালিয়াডাঙ্গী থানার বড়বাড়ী এলাকার এ এইচ আল মাসুদ ওরফে রয়েলের মালিকানাধীন গরু খামারে ১০-১২ জন সশস্ত্র ডাকাত হানা দেয়। ডাকাতরা প্রহরা কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে খামার মালিককে হাত-পা বেঁধে ও মুখে কাপড় গুঁজে মারধর করে। পরে খামার থেকে নয়টি গরু ও একটি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায় তারা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী খামার মালিক বাদী হয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় ডাকাতির মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রাথমিক তদন্ত থানা পুলিশ শুরু করলেও পুলিশ সুপার ঠাকুরগাঁওয়ের নির্দেশে গত ৮ ডিসেম্বর মামলার তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ডিবির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. শাহরিয়া সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ প্রযুক্তিগত ও গোয়েন্দা বিশ্লেষণের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যেই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেন। তদন্তে উঠে আসে, একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত চক্র ঠাকুরগাঁওসহ বিভিন্ন জেলা থেকে এসে পঞ্চগড়ের বোদা থানার এলাকায় একত্রিত হয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। ডাকাতির কাজে তারা একটি ট্রাক ব্যবহার করে, যা দিয়ে লুণ্ঠিত গরুগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়।
পুলিশ আরও জানায়, গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তদন্তে দেখা গেছে, চক্রটি ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার বিভিন্ন এলাকায় চুরি ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত।
গ্রেপ্তার চারজনকে আদালতে হাজির করা হলে তারা স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ঠাকুরগাঁও ডিবি পুলিশের এসআই নবিউল ইসলাম বলেন, আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তার এবং লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।